কক্সবাজার, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়ায় ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে নির্মিত হচ্ছে পাহাড় কেখো ছৈয়দ করিমের স্থাপনা

নিজস্ব প্রতিবেদক::

কক্সবাজারের উখিয়া ইনানী রেঞ্জের রাজাপালং বনবিটের হরিণমারা বাগানের পাহাড়ের মৃত ছৈয়দ আকবরের ছেলে এলাকার চিহ্নিত পাহাড় কেখো ছৈয়দ করিম প্রকাশ কানা ছৈয়দ করিম রাজাপালং বনবিট কর্মকর্তা মন্সুর রহমান ও মুন্সিদের ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে সরকারি বনভুমিতে নির্মান করে যাচ্ছে আলিশান স্থাপনা।

সোমববার সকালে রজাপালং বনবিট এলাকা ঘুরে ও বেশ কয়েকজন লোকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, হরিণমারা বাগানের পাহাড় এলাকার মৃত ছৈয়দ আকবরের ছেলে চিহ্নিত পাহাড় কেখো ছৈয়দ করিমসহ অর্ধশতাধিক ভুমিদস্যুরা রাজাপালং বিট কর্মকর্তা মন্সুর রহমান ও বনমুন্সী সালাম এর সাথে আতাঁত করে বিটের বাগানের পাহাড় ও তুতুরবিল এলাকার সরকারি বনভুমির পাহাড় কেটে মাটি পাচার ও সরকারি বনভুমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মানে সহযোগিতা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও পাহাড় কেখোদের কালো টাকার পাহাড়ের কাছে সংশ্লিষ্ট বন বিভাগ রহস্যজনক কারনে রয়েছে নিরব দর্শকের ভুমিকায়।

অবৈধ স্থাপনা নির্মানকারী ছৈয়দ করিম জানান, সবাই যে ভাবে বন বিভাগকে টাকা দিয়ে স্থাপনা নির্মান করে যাচ্ছে, আমিও ঠিক তাই বন বিভাগকে টাকা দিয়ে স্থাপনা নির্মান কাজ করে যাচ্ছি।

স্থানীয়রা আরো জানান, বন বিভাগের কর্মকর্তা ও মুন্সীদের টাকা দিলে বিশ্ব জয়করা যায়। উখিয়ার ঘাট বনবিটের বিতর্কিত ও দুর্ণীতিবাজ বিট কর্মকর্তা মন্সুর রহমান রাজাপালং বিটে যোগদানের পরপরই বন মুন্সীদের সাথে সমন্বয় করে পাহাড় যজ্ঞেরমতো জঘন্য অপরাধীদের সহযোগিতা করে একদিকে ধ্বংস করছে সরকারি বন অপর দিকে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকার পাহাড়।

সচেতন মহলের অভিমত, বন ও পরিবেশ ধ্বংসকারী বিট কর্মকর্তা ও মুন্সীদের কবল থেকে সরকারি বনভুমি কখনো রক্ষা করা সম্ভব হবেনা। তাই বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে বিট কর্মকর্তা ও সালাম মুন্সীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কক্সবাজার দক্ষিন বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ সরওয়ার আলমের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পাহাড় কেখো বলেন, আমরা গাড়ী প্রতি টাকা দিয়েই পাহাড় কেটে মাটি পাচার করতেছি। এতে আমাদের দোষ কোথাই।

রাজাপালং বিট কর্মকর্তা মন্সুর রহমান, পাহাড় কাটার সাথে জড়িত ছৈয়দ করিমের অবৈধ স্থাপনা নির্মানের সত্যতা স্বীকার করেন।

পাঠকের মতামত: